আনন্দের হাঁট ‘ফ্যান ফেস্ট’
এতো পথ হেঁটে ক্লান্ত সবাই। তবে মন জুড়ানো গান আর নানান দেশের মানুষের উল্লাস দেখে অল্পতেই সবার কষ্ট লাগব হয়ে গেছে। এ যেনো এক এলাহী কাণ্ড। পুরো বিশ্বই এখানে জড়ো
হয়েছে। ফ্যান জোনের স্বেচ্ছাসেবীদের আন্তরিকতাও আমাদের মুগ্ধ করেছে। থেমে থেমে মঞ্চ থেকে বেজে উঠছে রক সঙ্গীত। সেই তালে তালে মেতে উঠছে নানান দেশের ফুটবল প্রেমীরা।
বিভিন্ন দলের সমর্থকরা একসঙ্গে হয়ে নাচানাচি করছেন। ছবি তুলছেন। অনেকেই নিয়ে এসেছেন নিজ দেশের পতাকা। অনেক দেশের পতাকা চোখে পড়েছে। এসব দেশের অনেকেই এবারের আসরে খেলছেন না। তাতে কী, নিজের দেশকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার এমন মঞ্চ কী আর আছে! তাই সবাই বয়ে এনেছে নিজের পতাকা।
স্বাগতিক দেশ হওয়ায় রাশিয়ান সমর্থকদের ভিড়টাই এখানে বেশি। তবে ল্যাটিন অঞ্চন থেকে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, পেরু, মেক্সিকো সমর্থকদের আনন্দ ছিল তুলনামূলক বেশি। আর্জেন্টিনার একদল দর্শক সারাক্ষণ সমস্বরে মেসি, মেসি রব তুলে জমিয়ে রেখেছে ফ্যান ফেস্ট। এদের দেখে বুঝার উপায় নেই আগের ম্যাচে হতাশ হয়েছিল আর্জেন্টাইন ফ্যানরা। সম্ভবত এটাই বিশ্বকাপের সৌন্দর্য।
ব্রাজিলের সমর্থকদের উল্লাসও ছিল দেখার মতো। তবে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে সমতা রেখে খেলা শেষ হওয়ায় অনেকেই একটু হতাশ। পয়েন্ট ভাগ হওয়ায় কেউ কেউ টেনশনে পড়েছেন। তবে নেইমারকে ফাউলের রেকর্ড করেছে সুইজারল্যান্ড- এটি নিয়ে সমালোচনা করেছে সবাই। সামনের ম্যাচে ভালো করবে ব্রাজিল- এটিই চাওয়া।
স্বরুপ দেব রাশিয়ার গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। জায়ান্ট স্কিনে খেলা দেখতে এসেছেন তিনি। জানালেন, পছন্দের দল আজেন্টিনা। প্রত্যাশা করছেন শিরোপা নিবে আজের্ন্টিনা। তবে এই আসরের হট ফেভারিট দল হিসেবে নেইমারের ব্রাজিলও ভালো খেলুক- এমনটা প্রত্যাশা করছেন তিনি।
ফয়সাল আলম এবং নিলয় বসাক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটিতে পড়ছেন। নিলয়ের পছন্দ ব্রাজিল আর ফয়সালের প্রিয় দল আজেন্টিনা। দুই দল ভালো খেললে খুশি তারা। বললেন, সুন্দর ফুটবল চাই আমরা। আর দিনশেষে খেলা তো বিনোদনই!
মস্কো ছাড়াও রাশিয়া বিশ্বকাপের বাকি ১০টি শহরেও আছে ‘ফ্যান ফেস্ট’। মাঠের বাইরে মাঠের আমেজ দিতেই এটি করা হয়েছে। খেলা ছাড়াও আয়োজন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মন ভরে যাচ্ছে আগতদের। অনেকেই কেনাকাটা আর খাওয়াদাওয়া করছেন।
মস্কো ছাড়াও ফ্যান ফেস্ট রয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ, সোচি, কাজান, সামারা, নিজনি নভগ্রাঁদ, রোস্তভ, একেতেরিনবার্গ, সারানস্ক, কালিনিনগ্রাঁদ ও ভলগোগ্রাঁদে। এসব ফ্যান ফেস্টে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
No comments