Header Ads

Loading...

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেমিট্যান্সে ভ্যাট বসানোর মিথ্যা প্রচার হচ্ছে

আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর কোনো মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বসানো হয়নি।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে যে রেমিট্যান্সের ওপর এবারের বাজেটে ভ্যাট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এর সমালোচনা দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের প্রচার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। দেশের বৈধ রেমিট্যান্স প্রবাহ বন্ধ করে হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর অপপ্রয়াস হিসেবে এই প্রচারণা চালানো হতে পারে বলে এনবিআর মনে করে।
৭ জুন বাজেট ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হতে থাকে যে এবারের বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর ভ্যাট বসানো হয়েছে। প্রবাসীদের দেশে পাঠাতে খরচ বাড়বে। এতে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে পারে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। সরকারের এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাত দিন পর আজ এই ব্যাখ্যা দিল এনবিআর। 

এনবিআরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভ্যাট আরোপ হয় পণ্য ও সেবা সরবরাহের ওপর। বাংলাদেশের প্রবাসী দেশের বাইরে কঠোর শ্রমের বিনিময়ে যে সেবা দিয়ে থাকেন, এর বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। এই কার্যক্রম ১৯৯১ সালের মূল্য সংযোজন কর আইনের ৩ নম্বর ধারার ২ (ক) নম্বর উপধারা অনুযায়ী, সেবা রপ্তানি হিসেবে বিবেচিত। তাই এই রপ্তানি কার্যক্রম ভ্যাটের আওতাবহির্ভূত। অর্থাৎ রেমিট্যান্স যা-ই আসুক না কেন, এই খাতের ওপর ভ্যাট বসবে না। তাই প্রবাসীরা বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে যেকোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স ও প্রেরণ করতে পারেন। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) সময়ে ১ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ১ লাখ সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা।

No comments

Powered by Blogger.