দলগুলোর ডাক নাম

সবারই একটি ডাকনাম থাকে। কাউকে ডাকার সময় ছোট নাম বা ডাকনামেই ডাকা হয়। এটা এখন আর সবাইকে অবাক করে না। ক্রিকেটে বাংলাদেশ ভালো করছে বলে সাকিব-তামিমদের ভক্ত দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। এই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডাক নাম ‘টাইগার্স’, তেমনি শ্রীলংকার ‘লায়ন্স’। ফুটবল দলগুলোরও আছে ডাকনাম। ভক্তরা আদরের সুরে সেসব নামে ডেকে থাকে। অনেক দলের ডাকনাম তাদের অবস্থান নির্ণয় করে। আবার তাদের জাতিসত্তারও পরিচয় বহন করে। রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ৩২ দলের ডাক নাম এখানে তুলে ধরা হলো—
রাশিয়া: ডাকনাম-বর্নিয়া, বর্নিয়া শব্দের অর্থ দল, ক্ষেত্র বিশেষে নির্বাচন। মূলত, মাঠে যে দল খেলে তাকেই বর্নিয়া নামে ডাকা হয়। মোদ্দাকথায় ‘প্রতিনিধি’।
ব্রাজিল: ডাকনাম-ক্যানারিনহো, সেলেকাও, ক্যানারি, এক ধরনের ছোট হলদে পাখি যারা গুণগুনাতে ভালোবাসে।
আর্জেন্টিনা: ডাকনাম : লা আলবিসেলেস্তে, এই নামের অর্থ দ্য স্কাই ব্লু, মানে‘আকাশী নীল’।
কলম্বিয়া: ডাকনাম-লস ক্যাফেটেটোর্স, কফি উৎপাদক। কফি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থান কলম্বিয়ার দখলে। ফুটবল দলের ডাকনাম একেবারেই সার্থক।
উরুগুয়ে: ডাকনাম-লা সেলেস্তে। মজার ব্যাপার হলো আর্জেন্টিনা ডাক নামের অর্থ আর উরুগুয়ের ডাক নামের অর্থ একই, দ্য স্কাই ব্লু।
বেলজিয়াম: ডাকনাম-রেড ডেভিল মানে লাল শয়তান!
অস্ট্রেলিয়া: ডাকনাম-সকারু, ‘সকারু’ একটি মিশ্র শব্দ। অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের ‘সকার’, জাতীয় প্রাণী ক্যাঙ্গারুর ‘রু’ মিলিয়ে ‘সকারু’ নামটির উদ্ভব।
ইরান: ডাকনাম-টিম মিল্লি, এটি একটি ফারসি শব্দ। যার অর্থ ‘জাতীয় দল’।
মিশর: ডাকনাম-দ্য ফারাও’স, মিশরের প্রাচীন স¤্রাটদের ফারাও বলা হতো।
ডেনমার্ক: ডাকনাম-ড্যানিশ ডায়নামাইট, বোঝাই যাচ্ছে নামটির অর্থ।
ইংল্যান্ড: ডাকনাম-থ্রি লায়ন্স, ইংলিশদের লোগোতে সাজানো রয়েছে তিনটি সিংহ। সেখান থেকেই থ্রি লায়ন্সের আবির্ভাব।
জার্মানি: ডাকনাম -ডাই ম্যানশ্যাফট, ওরা এগারো জন!
ফ্রান্স: ডাকনাম-লেস ব্লুয়িসু, ব্লু বা নীল।
আইসল্যান্ড: ডাকনাম-স্ট্রাকামির ওক্কার, আমাদের আইসল্যান্ডের ছেলেরা!
ক্রোয়েশিয়া: ডাকনাম-ভাত্রেনি মানে রূপকথার বালক!
কোস্টারিকা: ডাকনাম-লস টিকোস, এর অর্থ লাল’রা!
জাপান: ডাকনাম-ব্লু সামুরাই, ব্লু সামুরাই বলতে দেশকে রিপ্রেজেন্টকারী হিসেবেই তাদের তুলে ধরা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া: ডাকনাম-এশিয়ান টাইগারস, নামেই তো যায় চেনা!
মেক্সিকো: ডাকনাম-এল ট্রিকোলার্স।
মরক্কো: ডাকনাম : আটলাস লায়ন্স, আটলাস পর্বতমালারা নামানুসারে এমন নামকরণ।
নাইজেরিয়া: ডাকনাম-সুপার ঈগলস, নাইজেরিয় ঈগলের মতো বিচক্ষণতার দরুন এমন নামকরণ।
পানামা: ডাকনাম-মারেয়া রোজা, অর্থ : ‘ভরা জোয়ার’
পর্তুগাল: ডাকনাম-সেলেকসাও দ্যে কুইনোস মানে ইউরোপের ব্রাজিল
পোল্যান্ড: ডাকনাম-বিয়ালো সিজ্রেওনি, পোলিশ ভাষায় যার অর্থ ‘সাদা লাল’
সেনেগাল: ডাকনাম-লায়ন্স অব তেরঙ্গা, সেনেগালের পতাকায় বিদ্যমান তিনটে রঙের আবহেই এই ডাকনাম
পেরু: ডাকনাম-লা ব্লাংকুইরোজা, স্প্যানিশ শব্দ। বাংলা করলে দাঁড়ায় সাদা লাল। পেরুভিয়ানদের জার্সির রঙ’ও লাল সাদাই।
সৌদি আরব: ডাকনাম-আল সোগুর আল আখদার, সবুজ বাজপাখি, মরুর সন্তান।
সুইডেন: ডাকনাম-ব্লাগল্ট মানে নীল হলুদের মুকুটধারী
সুইজারল্যান্ড: ডাকনাম-সুইজার নাটি, দেশটির নামের শর্টফর্ম।
সার্বিয়া: ডাকনাম-প্লাভি মানে সার্বিয়ান ঈগল।
স্পেন: ডাকনাম-লা ফুরিয়া রোজা, মানে উত্তেজিত। স্প্যানিশ ম্যাটাডোরদের শারীরিক ভাষার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
তিউনিসিয়া: ডাকনাম-লেইস ঈগল দো কার্থেজ মানে কার্থেজের ঈগল।