Header Ads

Loading...

নীড়পাতা » প্রথম পাতা » বিএনপি নেতা ও সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের ইন্তেকাল

বিএনপি নেতা ও সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের ইন্তেকাল

 বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, হাটহাজারী সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম আর নেই। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঢাকাস্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহেরাজেউন) মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। তিনি দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মীসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বন পরিবেশমন্ত্রী ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীকসহ বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মী।
সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের বড় মেয়ে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা গতরাতে দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘ দফা নামাজের জানাজার পর সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমকে মঙ্গলবার বিকেলে হাটহাজারীর গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। গতকাল রবিবার তারাবির নামাজের পর ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ সুন্নিয়া মাদরাসা ময়দানে তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় দফা, দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৃতীয় দফা নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁর মরহেদ হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে। নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে বাদ আসর চতুর্থ দফা, বাদে তারাবি নগরীর ষোলশহর সুন্নিয়া মাদরাসা ময়দানে পঞ্চম দফা, পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাটহাজারী কলেজ মাঠে ষষ্ঠ দফা এবং বাদ জোহর হাটহাজারীর লালিয়ারহাট মাদরাসা মাঠে সপ্তম দফা নামাজের জানাজাশেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
এদিকে, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মৃত্যুতে হাটহাজারীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে হাতেখড়ি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের। পরে বিএনপি থেকে হয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। ১৯৯১ সালে প্রথম ধানের শীষে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬, ২০০১ সালে সংসদ সদস্যসহ মোট চারবার নির্বাচিত হন। ২০০১০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনসহ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়কও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ বিএনপির কাউন্সিলে তাঁকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনোনীত করা হয়।
শোকপ্রকাশ : সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য লী, নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এম মোরশেদ খান, মীর মোহামম্দ নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রোজী কবির, গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এম হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ ছালাউদ্দিন, ইসহাক কাদের চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিন, মির্জা মোহাম্মদ আকবর, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এম সিরাজদ্দৌলাহ, নুর মোহাম্মদ, আজম খান, জসিম সিকদার, এডভোকেট আবু তাহের, আবদুল আউয়াল, সেকান্দর চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, সৈয়দ নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান মনজু, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজি বেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সৈয়দ আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এস কে খোদা তোতন, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, জাসাস সভাপতি আবদুল মান্নান রানা, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ শিপন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী হোসেন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাদেক হোসেন, হাটহাজারী যুবদলের আহ্বায়ক শাহেদুল আজম শাহেদ, সদস্য সচিব শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, ছাত্রদলের সভাপতি এস এম জাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গাজী মুবিন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান

No comments

Powered by Blogger.